সিনিয়র বউয়ের ভালবাসা (পার্ট- ২) | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প | রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

সিনিয়র বউ

সিনিয়র বউয়ের ভালবাসা

পর্বঃ ২

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প

আমি রুমে প্রবেশ করতে যাব আর তখনি সিমির সাথে ধাক্কা খেলাম।
সিমি উল্টে পড়ে গেছে।
আমিঃসরি বুঝতে পারিনি।
সিমিঃআপনি কেন সরি বলছেন? আমি সরি। আমার কারনে আপনি ব্যাথা পেলেন।
আমিঃমেয়ে বলে কি? ব্যাথা ত ও পেয়েছে আর সরিও বলছে।(মনে মনে)
সিমিঃআপনার কিছু লাগবে?
আমিঃনা।
সিমিঃ আমি তাহলে নিচে গেলাম নাস্তা বানাতে। কিছুর প্রয়জন হলে ডাক দিবেন।
আমিঃহুম। যান।
সিমি নিচে চলে গেল নাস্তা বানাতে।
আর আমি রুমে শুয়ে থাকলাম।
শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে গেছি কখন তা বুঝতে পারিনি।
সিমিঃএইযে উঠুন। উঠুন বলছি।
আমিঃউমমমম ভাবি আরেকটু ঘুমাতে দাও না।(ঘুমের ঘোরে)
সিমিঃএই আমি আপনার ভাবি না।
আমিঃওহ সরি বুঝতে পারিনি। আসলে প্রত্যেকদিন ভাবি ঘুম থেকে ডেকে দেয় ত তাই বুঝতে পারিনি।
সিমিঃ হুম আসুন নিচে নাস্তা করতে। সবাই অপেক্ষা করছে।
আমিঃআচ্ছা আসছি।
সিমি নিচে চলে গেল।
আর আমিও ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি যাবার জন্য রেডি হয়ে গেলাম।
আমি অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি।
নিচে টেবিলে বসতেই
আব্বুঃব্যাগ নিয়ে কোথাই যাবি?
আমিঃভার্সিটি।
আব্বুঃকাল বিয়ে করে আজকেই ভার্সিটি যাচ্ছিস কারন কি?
আমিঃকিসের বিয়ে? আমি এসব বিয়েটিয়ে মানিনা।
আব্বুঃদেখ বাবা যা হয় ভালর জন্যই হয়।
এরকম বৌউ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
আমিঃআমি এতকিছু জানিনা । আমি গেলাম।
নাস্তা না করেই বাসা থেকে বের হয়ে বাইক নিয়ে ভার্সিটিতে চলে এলাম।
ভার্সিটি এসে
প্রান্তঃকি খবর দোস্ত মুখ এমন লাল হয়ে আছে কেন?
আমিঃআর বলিস না। গ্রামে গেছিলাম বাবার বন্ধুর বিয়েতে। সেখানে মেয়েটার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আর বাবা আমাকে বিয়ে করিয়ে দেয় মেয়েটাআমিঃআর বলিস না। গ্রামে গেছিলাম বাবার বন্ধুর বিয়েতে। সেখানে মেয়েটার বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আর বাবা আমাকে বিয়ে করিয়ে দেয় মেয়েটার সাখে।
প্রান্তঃওয়াও। তাহলে তুই এখন বিবাহিত।
আমিঃহুম।
প্রান্তঃতা দোস্ত রাতে বিড়াল ঠিকঠাক মারতে পেরেছিস ত?
আমিঃমেয়েটাকে আমি মেনে নি নি।আমি ত বৃষ্টিকে ভালবাসি। আর এই মেয়ে একটা ক্ষ্যাত। সবসময় পর্দার আড়ালে থাকে। এমনকি বাসাতেও।।
প্রান্তঃবলিস কি? এসব মেয়েদের জিবনসঙ্গি হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর তুই মেনে নিসনি?
আমিঃচুপ করতো। সবাই শুধু একটাই কথা বলছে।
প্রান্তঃহু। পরে পস্তাবি।
আমিঃবৃষ্টি থাকতে পস্তাব না।
প্রান্তঃবৃষ্টির জন্যই পস্তাবি।
আমিঃদেখা যাবে।
আমরা কথা বলছি তখন বৃষ্টি এলো।
বৃষ্টি আসাতে প্রান্ত চলে গেল ক্লাসে।
প্রান্ত বৃষ্টিকে সহ্য করতে পারেনা।
বৃষ্টিঃ হাই বেবি।
আমিঃহাই।আসতে এত লেট হলো কেন?
বৃষ্টিঃ রাস্তায় জ্যাম ছিল তাই।
বৃষ্টি আর আমি কথা বলছি তখনিই ভার্সিটিতে একটা কার আসে।
কারটা আমার আব্বুর।
আব্বু ভার্সিটিতে কেন এলো?
কার থেকে দুইজন নামলো।
আব্বু আর সিমি এসেছে।
কারন কি এখানে তাদের আসার?
আব্বুঃরিফাত।
আমিঃজি আব্বু।
আব্বুঃচল আমার সাথে।
আমিঃকোথাই?
আব্বুঃপ্রিন্সিপালের রুমটা দেখিয়ে দে।
আমিঃকেন আব্বু?
আব্বুঃযা বলছি তা কর।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে প্রিন্সিপালের রুমে নিয়ে আমি আর কথা না বাড়িয়ে প্রিন্সিপালের রুমে নিয়ে গেলাম
আব্বু সিমিকে অনার্স ৩য় বর্ষে ভর্তি করাল।
সিমি পড়ালেখাও জানে তাহলে?
প্রিন্সিপালের রুমের বাইরে
আব্বুঃক্লাস শেষে বউমাকে সাথে নিয়ে বাসসায় যাবি।
আসিঃকিন্তু।
আব্বুঃযা বলছি সেটা করবি।
আব্বু চলে গেল।
সিমিঃ আমার ক্লাস কোনটা?
আমিঃচলেন দেখিয়ে দিচ্ছি।
সিমিকে তার ক্লাসে দিয়ে এলাম।
আমি আমার ক্লাসে এলাম।
কয়েকটা ক্লাস করে ভাবলাম বাসায় যায়।
তাই সিমিকে ডাকতে
গেলাম।
সিমিকে কয়েকটা ছেলে বিরক্ত করছে।
কেউ কেউ তার বোরকা ধরে টান দিচ্ছে।
সিমি তাদের টাচ করছে না।
যথাসম্ভব দুরে থাকার চেষ্টা করছে।
সিমিঃপ্লিজ আমাকে টাচ করিয়েন না।
নাহ আমার কেন যেন খারাপ লাগছে।
ক্লাসে ঢুকে সিমিকে নিয়ে চলে এলাম।
বাইকে চড়ে বসে আছি কিন্তু সিমি উঠছে না।
আমিঃকি হলো উঠুন।
সিমিঃ আমি বাইকে চড়তে পারিনা।
আমিঃকেন?
সিমিঃ কোনদিন বাইকে উঠিনি।
আমিঃআমার হাত ধরুন আর এই খানে পা দিয় উঠুন।
সিমি আমার কথামত উঠে পড়লো।
বাইক স্টার্ট করলাম।
সিমি আমাকে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে আছে।
বৃষ্টিও আমাকে এভাবে অনেকবার জড়িয়ে ধরেছে। তবে কোন ফিলিংকস আসেনি।
কিন্তু এবার কেমন যেন লাগছে।
বাসায় আসছিলাম তখন সিমি ছোটকরে আবদার করলো ফুচকা খাবে।
আমিঃআচ্ছা আপনি বসুন আমি অঅর্ডার দিচ্ছি।
সিমিঃপার্সেল নেন। বাইরে খেতে পারব না।
আমি ফুচকা নিচ্ছি তখনি একটা বাইকেরর দিকে চোখ আটকে গেল।
বৃষ্টি একটা ছেলের সাথে বাইকে করে যাচ্ছে।
হয়ত কাজিন হবে ।
বাসায় চলে এলাম।
ভাললাগছে না।
বৃষ্টির কথা মনে পড়ছে।
গোসল করে বসে আছি ডাইনিংরুমে।
সারাটাদিন এভাবেই কাটলো।
বৃষ্টিকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু ধরছে না।
সন্ধ্যার সময় আম্মু এলো আর যা বললো তাতে আমার মাথাঘুরে গেল।
আম্মু বললো যে
চলবে...

Post a Comment

Previous Post Next Post