![]() |
সিনিয়র বউ |
সিনিয়র বউয়ের ভালবাসা
পার্ট- ১
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প
আজ আমার বাসররাত।
তবে ভেতরে যেতে আমার একদম ইচ্ছে করছে না।
কারন বিয়েটা আমার অমতে হয়েছে।
মেয়েটাকে আমি মেনে নিতে পারব বলে মনে হয় না।
না মানারর যথেষ্ট কারন আছে।
এছাড়া আমার গার্লফ্রেন্ড রয়েছে।
বিয়েটা কিভাবে হলো আর আমাদের পরিচয়টা জানিয়ে দি।
আমি রিফাত। বড়লোক বাবার দ্বিতীয় সন্তান।
আমার বড় ভাই রয়েছে।
ভাই বিবাহিত।
আমাদের পরিবারের পাঁচ জন আমাদের পরিবারের পাঁচ জন সদস্য।
আমি ভাইয়া-ভাবি আর মা-বাবা।
আর যার সাথে বিয়ে হয়েছে সে হলো সিমি।
তার বাবা আর আমার বাবা ছোটবেলার বন্ধু।
তারা গ্রামে থাকে।
মোটামটি স্বচ্ছল পরিবার।
আজ সিমির বিয়ে হবার কথা ছিল জমিদার বাড়ির ছেলের সাথে।
বাবার ছোট বেলার বন্ধু যার কারনে আমাদের যেতে হয়েছিল বিয়েতে।
কিন্তু বিয়েতে গিয়েই আমি ফেসে গেছি।
জমিদার বাড়ির ছেলেটার অপকর্ম যখন আংকেল জানতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
বিয়েটা ভেঙ্গেই যাবে যাবে অবস্থা ঠিক তখনি আমার আব্বু তার বন্ধুত্বের পরিচয় দেন।
মানে সিমির সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেন।
আমি কাউকে ভয় পেলে সেটা হলো আব্বু।
কোনদিন মুখের উপর কথা বলতে পারিনি।
কিন্তু বিয়েটা আমি মানতে পারছিনা।
আমার গার্লফ্রেন্ড বৃষ্টি যদি একবার জানতে পারে আমার বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে সে আত্মহত্যা করতে পিছুপা হবে না।
এসব ভাবছি তখনি ভাবি এলো।
ভাবি আমাকে অনেক ভালবাসে।
নিজের ভাইয়ের মত।
ভাবিঃতোর এখানে কি কাজ?
আমিঃত কি করব?
ভাবিঃবিয়ে করেছিস বউয়ের কাছে থাকবি।
আমিঃআমি বিয়ে করিনি। তোমরা জোর করে দিয়েছ।
ভাবিঃআজ তোর বাসররাত আর তুই ছাঁদে বসে এসব ভাবছিস?
আমিঃভাবি তুমি ত জান বৃষ্টির কথা।
ভাবিঃঅতিতে যা করেছিস ভুলে যা।
আমিঃকিন্তু।
ভাবিঃদেখ আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই করেন। সিমি মেয়েটা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি গুনবতি। আজ পর্যন্ত পর্দা ছাড়া বাইরে বের হয়নি। কিন্তু বৃষ্টি মেয়েটা কিসব পড়ে ঘুরে বেড়ায়। শরিরের অর্ধেক অংশ এমনি বুঝা যায়। বৃষ্টিকে আমার কোনদিন পছন্দ হয়নি। তোর ভাললাগত তাই কিছু বলতাম না। এখন রুমে যা। আর মেয়েটার সাথে ভাব জমা।
আমিঃনা যাব না।
ভাবিঃযাবিনা মানে? আয় চল বলছি।
আমিঃভাবি কানন ছাড়। ব্যাথা করছে ত।
ভাবিঃরুমে দিয়ে আসি তোকে তারপর ছাড়ব।
আমিঃউ
ভাবি আমাকে ছাদ থেকে টেনে ঘরেরর ভিতরে রেখে গেল।
।
ভাবি তুমি যতই বলোনা কেন সিমিকে আমি কোনদিনন মেনে নিব না।
বৃষ্টিকে আমি নিজের করেই ছাড়ব।
প্রয়োজনে নিয়ে পালাব তাও ভাল।
তবে সিমিরর মত আনস্মার্ট গ্রামের ক্ষ্যাত মেয়েকে আমি মেনে নিব না।
কোথাই আমি আর কোথাই সিমি।
ভার্সিিটর স্মার্ট ছেলেদের মধ্যে কারো নাম নিলে প্রথমে রিফাতের নাম আসে।
আর সেখানে সিমিকে নাকি আজ পর্যন্ত পর্দার বাইরে কেউ দেখেনিআর সেখানে সিমিকে নাকি আজ পর্যন্ত পর্দার বাইরে কেউ দেখেনি।
দেখতে নিশ্চই বাজে যার কাররনে মুখ ঢেকে রাখে।
আমি পিছনে ঘুরতেই সিমি আমার পায়ে হাত দিল।
আমিঃএ কি করছেন আপনি?
সিমিঃ বাসররাতে স্বামির পা ছুয়ে সালাম করতে হয়। তাই করলাম।
আমিঃহুম ঠিক আছে। তবে আমার কাছে আর ঘেষবেন না। আমি আপনাকে বউ মানিনা। আর কোনদিন মানবও না।
সিমি হয়ত আমার মুখে একথা শুনবে তা ভাবতে পারে নি।
আমি ভাবলাম সিমি হয়ত রেগে যাবে।
কিন্তু না।
শান্ত গলায় উত্তর দিল
সিমিঃআপনি যা বলবেন তাই হবে।
আমিঃহুম ঠিক আছে। যান গিয়ে শোফায় শুয়ে পড়ুন।
সিমিঃ জ্বি।আপনি ঘুমাবেন না?
আমিঃ আমি কখন কি করব না করব সেটা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা। নিজের মত থাকবেন আপনি। আমার কোনকাজে নাক গলাতে আসবেন না। (রেগে)
সিমিঃ জ্বি।
আমি ফোনটা নিয়ে বেলকনিতে চলে এলাম।
বৃষ্টির সাথে একটু কথা বলব তাই।
ভাবছি কল দিব কিনা।
রাত একটা বাজে।
হয়ত ঘুমিয়ে পড়েছে বৃষ্টি।
ভাবতে ভাবতে কল দিয়ে দিলাম।
এতরাতে বৃষ্টির ফোন ওয়েটিং দেখাচ্ছএতরাতে বৃষ্টির ফোন ওয়েটিং দেখাচ্ছে।
কার সাথে কথা বলছে ও।
ভাবতে ভাবতে বৃষ্টির ফোন এলো।
আমিঃহ্যালো।
বৃষ্টিঃ হুম বলো।
আমিঃএতরাতে তোমার ফোন ওয়েটিং কেন?কার সাথে কথা বলছিলে?
বৃষ্টিঃ আমি যার সাথে ইচ্ছে কথা বলি তাতে তোমার কি?
আমিঃআমার কি মানে? তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।
বৃষ্টিঃ গত দুদিন কইছিলা?
আমিঃগ্রামে গিয়েছিলাম। ফোনে চার্জ ছিলনা। তাই ফোন দিতে পারিনি।
এভাবেই বৃষ্টির সাথে অনেকক্ষন কথা বললাম।
যাক বৃষ্টি তাহলে কিছু জানতে পারে নি।
আমি রুমে ঢুকে দেখছি সিমি নামাজ পড়ছে।
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত তিনটা বাজে।
এখন কেন নামাজ পড়ছে ও?
ফজরের আযান হতে ত অনেক দেরি।
আমি এসব ভাবছিলাম তখন সিমি সালাম ফিরাল।
সিমি উঠতেই
আমিঃএত রাতে নামাজ পড়লেন যে? কিসের নামাজ এটা?
সিমিঃতাহাজ্জুদের নামাজ পড়লাম। গভির রাতে আল্লাহকে
ডাকলে মনের আশা তাড়তাড়ি পৃর্ন হয়।
আমিঃও।ঘরের ছবিগুলো কোথাই?
সিমিঃ ছবি টাঙানো থাকলে ফেরেশতা প্রবেশ করেনা।তাই ছবিগুলো আলমারিতে রেখেদিসিমিঃ ছবি টাঙানো থাকলে ফেরেশতা প্রবেশ করেনা।তাই ছবিগুলো আলমারিতে রেখেদিয়েছি।
আমিঃআপনি এখনো মুখ ঢেকে রেখেছেন কেন?
সিমিঃ আপনি চাইলে দেখতে পারেন।আমার সমস্ত কিছুর উপর এখন থেকে আপনার অধিকার রয়েছে।
আমিঃনা থাক দরকার নেই।ৃযান ৃঘুমান।
আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম আর উনি সোফায়।
উননার সাথে বেশি কথা বলা যাবেনা।
মায়ায় জড়িয়ে যাব নাহলে।
কত সুন্দর কন্ঠ।
শান্তশিষ্ট।
সিমির জায়গায় অন্য কেউ থাকলে কি করত কে যানে।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম ।
সকালে ঘুম ভাঙ্গল সিমির হাতের ধাক্কায়।
আমিঃকি হয়েছে?
সিমিঃফজরের আযান হয়েগেছে যান নামাজ পড়ে আসুন।
আমিঃউহ যান ত এখানথেকে । আমি ঘুমাব।
সিমিঃ আগে যা করেছেন তা করেছেন এখন এসব চলবে না।
নামাজ পড়ে আসবেন এখনি যান বলছি।
আমিঃচেঁচায়েন না ত।যাচ্ছি।
অযু করে রুমে এলাম।
সিমিঃ পান্জাবি পায়জামা নেই আপনার?
আমিঃনা।
সিমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আজকের মত এভাবেই যান। পরে কিনে নিবেন।
আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাসায় এলাম।
সবাই নামাজ পড়ে আমি ছাড়া।
সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
রুমে যাব আর তখনিই
চলবে...