![]() |
সিজন ২ |
ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন
পার্টঃ ৪র্থ
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
___রবিউল বিস্বাস কর আমার কারো সাথে সম্পর্ক নাই এই চোখের দিকে তাকিয়ে বল এই চোখ কখনো কি ধোকা দিতে পারে ।(কান্না করে )
___তুই যাতে মনে করছ আমি চাকরি পেয়ে চেন্জ হয়ে গেছি তারপড় যাতে তুই চাকরি খোঁজছ মন প্রাণ দিয়ে কিন্তু এতে তুই ভেবে বসলি আমি অন্য কারো সাথে রিলেশন করি (এখনো কপাল ঠেকিয়ে কান্না করে)
___ত কি ভাববো যে আমাকে অনেক ভালোবাসতো সে যদি হঠাৎ ভালোবাসা বন্দ করে দেয় তাহলে আমি ত ভাবতে পারি সে অন্য কারো হয়ে গেছে ।(চোখে বিন্দু বিন্দু জল এসে গেছে)
___চোখের জল লুকিয়ে চলে আসলাম । নিধিকে আর কিছু বলতে দিলাম না । হয়তো তার সামনে কান্না ধরে রাখতে পারতাম না । আমি তাকে এখনই মেনে নিতাম কিন্তু সে সামান্য চাকরির জন্য আমাকে এভাবে ভালোবাসা থেকে বন্চিত করল । রুমে এসে ধরজা লাগিয়ে দিলাম যাতে নিধি না আসতে পারে ।
___কিছুক্ষন পরে দরজায় টোকা পড়ল বুজতে পাড়লাম কেউ এসেছে ।
___কে ওখানে (আমি )
___নিশ্চুপ ...
___টোকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু নাক টানার শব্দ পাচ্ছি মানে নিধি কাঁদতাছে ।
এটা ভাবতেই ভিতর থেকে হ্রদয় কেপে উঠছে । মন চাচ্ছে এখনই নিধিকে বুকে টেনে নিতে ।
___নিধি যেয়ে কাউকে বলতে পারছেনা যে আমি রবিউলের ওখানে ঘুমাবো কারন এখন কেউ অনুমুতি দেয় না আমার সাথে ঘুমানোর জন্য । নিধি কিছুক্ষন কেঁদে চলে গেছে ।
___বিছানায় আমি এপাশ ওপাশ করছি কিন্তু ঘুম আসছেনা । কোনোমোতে রাত পার করে সকালে কাগজ পএ নিয়ে রওনা দিলাম অফিসে ।
___নিধি সকালে উঠে আমার রুমে এসে আমাকে না পেয়ে আম্মুর কাছে যেয়ে বললো...
___বড় আম্মু রবিউলকে দেখছি না যে ।
___রবিউল তো সকাল সকাল কাগজ নিয়ে বের হলো দেখলাম ।
___ওহো (মন খারাফ করে )
___নিধি আম্মুর কাছ থেকে এসে ভাবতাছে ..
রবিউল চাকরি জোগার করার জন্য এতো সকাল সকাল বের হয়ে গেল । রাতে রবিউলকে চাকরির কথা না বললে রবিউল এমন করতো না ।
নিধি জানে না আমি চাকরি পাইছি সে ভাবতাছে আমি চাকরি জোগাড় করতে বের হইছি ।
___নিধি ইস্কুলে যায় না মন খারাফ করে রুমে শুয়ে রইছে দরজা বন্ধ করে না খেয়ে । নিধির আম্মু খাওয়ার জন্য ডাকছে কিন্তু নিধি খেতে যায় না ।
___আমার আজকে প্রথম দিন তাই বেশি কাজ নাই সবার সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম আর নিজের কাজ বুজে নিলাম ।
অফিস থেকে আসতে আসতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিছে ।
বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে আম্মু এসে দরজা খুলে দিছে ....
___কিরে সারাদিন কই ছিলি (আম্মু)
___ওহো আপনাদের বলা হয় না আমি চাকরি পাইছি । আর সারাদিন সেখানে ছিলাম ।
___তাই বলে ফোনটা বন্ধ রাখবি ।
___আরে প্রথম অফিস করবো তাই যাতে কেউ ডিস্ট্রাব না করে সে জন্যই ফোনটা বন্ধ রাখছি ।
___তোর আর নিধির মাজে কোনো জগড়া হলে তা মিটিয়ে নে মেয়েটা সে সকাল থেকে না খেয়ে আছে দরজা পর্যন্ত খুলছে না ।
___কি নিধি সে সকাল থেকে না খেয়ে রইছে (অবাক হয়ে )
___হুম আর আমি যাতে নিধিকে রাতের খাবারের সময় দেখি টেবিলে সেটা তুই কেমনে আনবি তোর বেপার । আর যদি না আসে তাহলে তোর খাবার ও বন্ধ ।(এই বলেই আম্মু চলে গেল )
___আমি ভিতরে ঢুকে ফ্রেশ না হয়ে চলে গেলাম নিধির রুমের কাছে । নিধি সারাদিন না খেয়ে আছে এটা শুনার পর বুকে ব্যথা শুরু করে দিছে ।
নিধির রুমের দরজায় টোকা দিলাম ।
___আমি খাবো না বলছি তারপড়েও কেন বার বার ডাকতে আসো (ভিতর থেকে চিল্লিয়ে )
___নিধি আমি রবিউল (নরম সুরে)
___(কোনো আওয়াজ নাই নিশ্চুপ)
___নিধি আমি রবিউল (টোকা দিয়ে)
___তখনই দরজা খুলে দিলো নিধি । আমি তো নিধির দিকে তাকিয়ে অবাক চুলগুলো এলোমেলো । চুলের সেই সজিবতা নাই একদম শুকনো । আর কান্না করতে করতে মুখের অবস্থা বেহাল করে পেলছে ।
___আপনি আজকে সারাদিন না খেয়ে রইছেন কেন (আমি)
___নিধি আমার কাছে থেকে আপনি ডাক শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইছে হয়তো সে এটা আশা করে নাই প্রিয়ো মানুষের মুখ থেকে আপনি ডাক শুনা ।
আমি আবার বলা শুরু করছি...
___নাকি আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে জগড়া হইছে যার কারনে আপনি খাবার খাচ্ছেন না ।
___এটা বলে মনে হয় ভুল করছি নিধি বসা থেকে উঠে আমার কলার ধরছে ।
আমি তো ভয়ে শেষ নিধি এখন আমাকে কি করবে ।
___নিধি আমার কলার ছাড় । না হলে কিন্তু ভালো হবে না ।
___খারাফ কি হবে শুনি । আমাকে আপনি ডাকা । আমার বয়ফ্রেন্ড আছে বলা আমাকে ইগনোর করা এর থেকে আর কি খারাফ আছে শুনি (বলতে বলতে দেয়ালের সাথে আটকে দিছে এবং দুই হাতের মাঝখানে রাখছে আমাকে )
___দেখ তুই এমনিতেই আমার সাথে খারাপ করে পেলছত সামান্য চাকরি না পাওয়ার জন্য ।
___কি করুম বল আব্বু বলছে তুই চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত একসাথে থাকতে দিবে না । আমার আবার তোকে ছাড়া ভালো লাগে না তাই তো কয়দিন তোর সাথে এমন করছি যাতে তুই চাকড়ি জোগাড় করছ (চোখে বিন্দু বিন্দু পানি এসে গেছে বলতে গিয়ে )
___তাই বলে আমাকে এভাবে ভালোবাসা থেকে বন্চিত করবি ।(অভীমানি সুরে )
___দেখ তুকে বললেও তুই গুরুত্ব দেস না তাই তো ভালোবাসা থেকে বন্চিত করছি যাতে তুই তাড়াতাড়ি করছ ।
___আচ্ছা বাদ দে এখন আমাকে যেতে দে ।
___যা তোকে ধরে কে রাখছে ।(এখনো আমার দুই সাইডে হাত দিয়ে দেয়ালের সাথে রাখছে )
___তুই হাত সরা তাহলে আমি চলে যাই ।
___আমার হাত আমি এভাবে দেয়ালের সাথে রাখব কিন্তু সরাবো না ।
___তাই তুই সরাবি না ।
___তুর যা ইচ্ছা কর কিন্তু আমি সরাবো না ।
___আমার হাত দুইটা নিধির কোমড় ধরে হালকা টান দিতেই নিধির শরীর আমার সাথে লেগে গেছে আর নিধি আমার চোখের দিকে চেয়ে রইছে ।
___আমার একটা হাত কোমড় থেকে সরিয়ে পিঠে স্লাইড করছি আর নিধি কেপে কেপে উঠছে তারপড় পিঠ থেকে হাতটা স্লাইড করতে করতে মাথায় হাতটা নিয়ে চুলের উপর দিয়ে মাথাটা চাপ দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরছি আর কোমড় চেপে নিধির শরির আমার শরীরের সাথে মিশিয়ে আস্তে করে ঘুড়ে গেছি ।
___এখন নিধি দেয়ালের সাথে লেগে গেছে আর আমি নিধির জায়গায় এসে গেছি । তারপড় নিধির হাত দুইটা দেয়ালের সাথে চেপে ধরে মুখটা নিধির সামনে নিতেই নিধি চোঁখ দুইটা বন্ধ করে পেলছে ।হয়তো প্রিয়োজনের স্পর্স অনুভব করার জন্য কিন্তু আমি এই সুযোগে নিধিকে ছাড়িয়ে দরজার কাছে এসে ...
___তোকে যাতে সবার আগে খাবার টেবিলে দেখি না হলে কিন্তু ভালো হবে না এমনিতেই তোর উপর আমি রেগে আছি ।(এই বলেই চলে আসলাম )
___নিধি রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইছে আমার দিকে । যানি এর প্রতিশোধ রাতে ঘুমানোর সময় নিবে .........
চলবে ....