ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন ( পার্ট-৩ ) | বাংলা রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প | চাচাতো বোনের সাথে প্রেম | ব্লাকমেইল ভালোবাসার গল্প

ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন

ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন

পার্টঃ ৩য়

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ( শুরু )

তারপড় নিধি ধরে এক টান দিয়ে ধোয়া মুখে থাকা অবস্থায় আমাকে টেনে নিয়ে চার ঠোঁট এক করে দিল ।
কি আর বলবো অরেন্জ ফ্লেভার আর ঠোঁট এক অসাধারন সাধ ছিল যা সবসময় খেতে মন চায় । দুইমিনিট পর ছাড়ল । ছেড়ে দিয়ে লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে আবার জরিয়ে ধরল ।

___তুই লজ্জা পেতেও ও পারছ (জরিয়ে ধরা অবস্থায়)
___তোর কি মনে হয় ।
___আমার মনে হয় তুই সবই পারছ ।
___হুম আমি সবই পারি শুধু তুই পাশে থাকলে হবে ।
___আচ্ছা তুই না বলে আমরা তুমি করে বললে কি হয় ।
___না একদম না তাহলে সবাই বুজে যাবে ।(নিধি)
___একদিন তো সবাই যানবোই তখন কি হবে ।
___তখনকারটা তখন ভাবা যাইবো ।
___হুম এখন ত আমাকে ছাড় কেউ এসে পরবে ।
নিধি ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা দুজন একটা বেন্চে বসলাম তাড়পর আমি বললাম ।
___নিধি বাড়ি ছেড়ে কেন আসলি বলত ।
___কারন হল কালকে আমরা সারাদিন ঘুড়বো ।
___বাড়ি থেকে ও ঘুড়তে যেতে পারতাম আমরা ।
___বাড়ি থেকে যদি যাইতাম তাহলে বিকালে যেয়ে বিকালে চলে আসতে হত । কিন্তু এখন দেখ কালকে আমরা সকালে রওনা দিব সারাদিন ঘুড়বো সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে যাব ।
___বাহ্ নিধি তোর মাথায় অনেক বুদ্ধি এগুলো নিয়ে ঘুমাস কেমনে ।
___এই তুইকি আমারে নিয়ে মজা করছ ।
___হুম ।
___এই তুই কি বললি (রেগে)
___যা সত্য তাই বললাম ।
___তবেরে (এই বলে মারতাছে )
___ওমা বাচাও আমাকে

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ( বিরতি - ১ )

আসলে মাইরে বেথা পাওয়ার ছেয়ে আর মজা লাগতাছে তারপরেও এক্টিং চালিয়ে গেলাম ।
কিন্তু মনে হয় একটু বেশি এক্টিং করে ফেলছি তখন নিধি মার্শাল আর্ট থেকে শিখা একটা টিপস অনুসারে মেরে দিল একটা তলপেটে আর আমি একহাত দিয়ে নাকে চাপ দিয়ে আরেক হাত দিয়ে পেটে চাপ দিয়ে হাটু ভেঙ্গে বসে পড়লাম আর নিধি ।

___এই তোর কি হয়েছে এভাবে বসে পড়লি কেন ।
___(নিশ্চুপ)
___এই তোর কি বেশি লাগছে আসলে আমি অনেক সরি আমি এভাবে দিতে চাইনি প্লিজ কথা বল ।(কান্না করে)
___আস্তে আস্তে ছাদ থেকে নেমে গেলাম ব্যথার কারনে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না । গিয়ে শুয়ে পড়লাম চিৎ হয়ে।
___কিছুক্ষন পরে দেখি কেউ আমার পান্জাবি পেটের ওপর উঠিয়ে গরম ছ্যাকা দিচ্ছে চেয়ে দেখি নিধি । তখন বলল ।
___প্লিজ তুই আর আমার সাথে রাগ করে থাকিস না আমার কষ্ট হয় ।
___কি আর তাকে বলব কেঁদে কেঁদে একদম বেহাল অবস্থা করে ফেলছে তাই বললাম।
___নিধি তোকে কতবার বললাম আমারে এ ধরনের মাইর দিছ না ।
___সরি বললাম তো আর দিবনা ।
___মনে থাকে যেন ।
___ হুম একশো বার থাকবে । বলেই আমার ওপর শুয়ে পড়ে ।
___নিধি যা তোর রুমে যা ।
___যাব আগে তোর আদরটা দে ।।
___ বিয়ের আগে এত আদর ভালো না । স্বামির জন্য একটু আদর বাচিয়ে রাখ ।
___ হুম প্রচুর আছে আমার এ স্বমিটার জন্য । কিন্তু আমার এখন লাগবে ।
___কি আর করা কপালে আর গালে চুমু দিয়ে দিলাম ।আর সে চলে গেল ।

ব্যথাটা কমে গেছে ।
রাতে সবার সাথে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম ।
ওইদিকে নিলা আর তানহা ।একসাথে ঘুমাইতে গেছে

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ( বিরতি - ২ )

___ভাবি কি কালকে চলে যাবেন । (তানহা)
___হুম (লজ্জা পেয়ে নিধি )
___ওও ।
___ আচ্চা তানহা এত ভাবি ভাবি করো নাতো আমার লজ্জা লাগে ।
___ওরে আমার লজ্জাবতী ভাবিরে ।
___আবারো ।
___আচ্ছা আচ্ছা আর বলবো না ।
___হুম না বললেই ভালো ।
___আচ্ছা নিধি তোমাকে একটা কথা বলি ।
___হুম অব্যশই ।
___না থাক পরে বলব ।
___ওকে ।

ওরা কথা বলতে বলতে একসময ঘুমিয়ে গেল ।
সকালে
___আমি সকালে দরজা খোলার শব্দ পাচ্ছি তখন দরজার দিকে তাকিয়ে দেখি নিধি দরজা খোলছে আমি তারাতাড়ি চোখ বন্দ করে ফেললাম ।
___নিধি এসে আমার নাক চেপে ধরছে তখন আমি মুখ দিয়ে নিস্বাস নিতে শুরু করি । আবার মুখে হাত দিয়ে ধরছে আমি নাক দিয়ে নিস্বাস নিতে শুরু করি এভাবে কিছুক্ষন পালাবদল করার পর নিধি বুঝে পেলছে আমি সজাগ তখন নাক আর মুখ একসাথে চেপে ধরছে । ধম নিতে না পেরে লাফিয়ে উঠলাম ।
___এই তুই ত আমাকে মারতে আইছত ।
___আর করবি নি মজা আমার সাথে ।
___ধারা এখন তোকে বুজাব আমি কি জিনিস এই বলেই দিলাম বালিশ দিয়ে এক বারি নিধিও আমাকে মারতাছে আর হাসতাছে ।
এভাবে কিছুক্ষন চলার পরে ।
আমি হয়রান হয়ে শুয়ে পড়লাম আর নিধি আমার বুকে মাথা দিয়ে হাপাচ্ছে ।
___এই রবিউল আমরা না ঘুড়তে যাব ।(নিধি)
___হুম কখন যাব ।
___এইতো সকাল সকাল যাব ।
___তারপড় আমরা সকালের নাস্তা খেয়ে বেড় হতে যাব তখন তানহা এসে বলতাছে
___ ভাবি তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ নিয়ে তোমাদের বাড়িতে যাব ।
___আচ্ছা দেখা যাবে কি সারপ্রাইজ নিয়ে আসো ।
___হুম খুব জলদি আসতাছি তোমাদের বাড়ি ।
___হুম আইসো।


রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ( বিরতি - ৩ )

___ তাড়পর আমরা রওনা দিলাম পার্কের উদ্যেশে সেখানে যেয়ে নিধির সাথে অনেক ঘুড়লাম তারপর 1:45 যেয়ে দুজনে রেস্টুরেন্টে খেয়ে আসলাম । তবে ঘুড়ার সময় অনেকে আমাদের দিকে চেয়ে রইছি কারন নিধির কালো বোরখা আর আমার কালো পান্জাবি সব মিলিয়ে যেন সদ্য বিয়ে করা কাপল । তারপর বিকালের দিকে চলে গেলাম নদীর পারে সেখানে বসে কতক্ষন আড্ডা দিলাম সব মিলিয়ে আজকের দিনটা বেষ্ট ছিল । তারপড় বাড়ি আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল । আর আব্বু আম্মুর প্রশ্ন শুরু হয়ে গেল আমি বলছি ...
___নিধি সব বলবে আপনাদের । এই বলে সেখান থেকে কেটে পড়লাম । আর আমি জানি নিধি সব সামলে নিবে ।
___এভাবে ২ সাপ্তাহ চলে গেল আমাদের ভালোবাসা কাউকে না জানিয়ে চলতাছে ।
___ আজকে তানহা আর তানহার বড় ভাই আসবে যে কিনা আমার দুই ব্যচ সিনিয়র তানভীর ভাই এতোদিন হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করত ।
/তানহা আসার পর/
___তানহার ভাই চাচা চাচির সাথে কথা বলছে আর তানহা নিধির কাছে আসছে ।
___কিরে তানহা আমার সারপ্রাইজ কই ।।
___সারপ্রাইজ দিব তবে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে ।
___আগে ত সারপ্রাইজ টা বল তাড়পর নাহয় দিব ।
___ভাইয়া তোমাকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে তাইতো তোমাকে আমি ভাবি বলতাম ।
___মানে কার কথা বলচ তুই ।
___কার আবার আমার তানভীর ভাইয়ের ।
এ কথা শুনার পর নিধির চোখ বড় বড় করে ফেলে আর কৌতোহল না থাকায় অবস্থায় বলে ফেলে আর তোর কি কাজ করতে হবে ।
___বেশি কিছু না আমি তোমাদের লাইন ক্লিয়ার করলাম আর তুমি আমারটা করবে ।
___মানে ।
___মানে আমি রবিউলকে অনেক আগেই থেকে পছন্দ করতাম কিন্তু কখনো বলা হয়নি কারন রবিউল যদি মানা করে দেয়।
___এ কথা নিধি শুনার পর নিধির এত রাগ হচ্ছে মন চাচ্ছে তানহাকে চিবিয়ে খেয়ে পেলতে ।
রাগে ক্ষোভে তানহার হাত ধরে আমার রুমে নিয়ে আসে তখন আমি একটা গল্পের বই দেখছিলাম এসেই আমাকে চেয়ার থেকে টেনে উঠিয়ে ঠোট এক করে দিল আমি তানহাকে দেখি নাই তাই আমিও রেসপন্স দিতে শুরু করলাম .....
চলবে .........

Post a Comment

Previous Post Next Post