![]() |
ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন |
ব্লাকমেইলার চাচাতো বোন
পার্টঃ ৫ম /অন্তিম পার্ট
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ( শুরু )
___আমি আর রবিউল দুজন দুজনকে ভালোবাসি (নিধি)
তখন আবার নিধি বলল..
___এবং আমরা দুজন বিবাহ ও করে ফেলছি ।
___ তখন সবাই ইস্তব্দ হয়ে চুপ করে রইছে আর নিধি সেখান থেকে আমার হাত ধরে নিধির রুমে নিয়ে আসে আর দরজা বন্ধ করে দেয় ।
___ওইদিকে ...
আমার আম্মুঃ- আমরা তাদের সারপ্রাইজ দিতে যেয়ে ওরাই আমাদের সারপ্রাইজ দিয়ে দিল ।
নিধির আব্বুঃ- এটা কেমনে সম্ভব । আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করে নিল ।
আমার আম্মুঃ- আমি যদি তাদের একসাথে না দেখতাম তাহলে কখনই যানতাম না তারা এতদূর এগিয়ে ।
(আপনাদের ত না বললে বুজবেন না । একদিন নিধি আমার উপরে শুয়ে ছিল আম্মু সকালে ডাকতে এসে দেখে পেলছে আমাদের একসাথে । আর সবাই মিলে আমাদের বিয়ে ঠিক করে । আর আমাদের মাঝে কিছু চলছে কি না তা জানার জন্য শুধু নিধির বিয়ের কথা বলছে । আর যখন নিধি আমাদের ভালোবাসার কথা বলছে তখন সবাই হেসে উঠছিল কিন্তু আমারা বিয়ে করে পেলছি শুনে সবাই সক্ড খাইছে)
___কিছুক্ষন পরে নিধির আম্মু ধরজায় টুকা দিছে ।
___বিবাহ কেন্সেল করার আগে আমাদের ডাকতে এসো না কেউ (নিধি)
___না আমরা কেউ বিবাহ কেন্সেল করতে পারব না (আমার আব্বু)
___বড় আব্বু বিবাহ কেন্সেল না করলে আমরা বাড়ি থেকে পালিয় যাব । তখন তোমরা আরামে থেক(কেঁদে কেঁদে নিধি বলল)
___আরে পাগলি মেয়ে আমরা তো তোদের বিবাহ ঠিক করছি । তোদের সারপ্রাইজ দিব বলে বলি না । এখন তো দরজা খোল মা ।(আমার আম্মু)
___সত্যি বলতাছো তো ।(নিধি)
___হরে পাগলি মেয়ে (নিধির আব্বু)
___আচ্ছা তোমরা যাও আমরা আসছি।(নিধি)
এই বলে নিধি আমার দিকে তাকালো দেখে আমি নিধির দিকে হা করে তাকিযে রইছি ।
___ওই এভাবে হা করে তাকিয়ে রইছত কেন ।
___না আমি ভাবছি তুই যদি আমার সাথে থাকস তা হলে কোন বিপদ আমার ধারে কাছে আসবে না ।(জরিয়ে ধরে)
___হু এতক্ষন কিছু বলে না এখন আসছে পাম দিতে ।
___তুই আমার মেঘলা আকাশের সূর্য হয়ে এসিছিলি । তাইতো আমার জীবনে প্রতিটি মূহূর্ত রঙিন হতে যাচ্ছে । ভালোবাসি পাগলি অনেক বেশি ভালোবাসি যা কখনো ভাসায় প্রকাশ করার মতো না ।
___আমিও তোকে ভালোবাসি । তুই শুধু আমার হাতটা ধরে থাকবি আর আমি সব বাধা মোকাবিলা করতে রাজি আছি ।
___আমি যদি অমর হতাম তাহলে কখনো তোর হাতটা ছাড়তাম না । কিন্তু আফসোস সকলকে মৃত্যুর সাধ গ্রহন করতে হবে ।
___পিল্জ রবিউল মৃত্যুর কথা বলিছ না আমার বুকে চিন চিন ব্যথা করে একথা ভাবলেই ।
___আমি আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম সাথে নিধিও । এ যে পরম সুখের কেউ এখন আমাদের আলাদা করতে পারবে না । যেন দুজন মিশে আছি এক শরীলে ।
তারপড় আমরা দুজন ঘড় থেকে বের হলাম । আর বড়দের মাঝখানে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি ।
আমার আব্বুঃ- পরশুদিন তোদের বিয়ে ঠিক করেছি । আমরা আবার তোদের বিয়ে দিয়ে দিব ।
আমরা শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম । তারপড় চলে আসলাম সেখান থেকে ।
___রাতের বেলা আমি খাবার খেতে যাই না । তাই নিধি খাবার নিয়ে আসলো ।
___কিরে খাবার টেবিলে যাছ না কেন ।(নিধি)
___আমার কেমন যেন লজ্জা লাগছে তাই যাই না ।
___কেন এমন হলো আজকে ।
___আরে সেখানে গেল বিবাহ নিয়ে কথা হবে তাই যাই না ।
___আচ্ছা এত লজ্জা পেতে হবে না এখন খাবার টা খেয়ে নে ।
___খাবার নিয়ে টেবিলে বসে পড়ছি । অর্ধেক খাওয়া হইছে তখন নিধি আমার কোলে বসে পড়ল ।
___এই তুই কোলে বসলে আমি খাবো কেমনে ।
___না আর তুই খাইতে পারবি না এখন আমি খাবো তাও তোর হাতে ।
___কেন তুর হাতে কি হইছে ।
___কিছুই হয় না । কিন্তু তুই খাওয়াই দিতে হবে ।
___আচ্ছা দিতাছি হা কর ।
খাওয়া দাওয়ার পর আমি সুয়ে রইছি আর ভাবতাছি সবকিছু কেমন তাড়াতাড়ি হয়ে গেল । আর সব ক্রেডিট নিধির । সত্যি মেয়েটা অসাধারন । নিধির কারনে আমার লাইফটা এমন সুন্দর হইছে ।
কিছুক্ষন পর নিধি আসলো ।
___ আচ্ছা নিধি এখন না আসলে হয় না কিছুদিন পরে ত একবারে থাকবি ।।
___ না তোরে ছাড়া আমার ঘুম আসে না ।
___ও তাই নাকি ।
___এই তুই আজকে লুঙ্গি পড়ছত কেন ।(ধমক দিয়ে)
___কেন প্রায় সময় তো পড়ি ।
___না তুই পড়বি না লুঙ্গি ।
___কিন্তু কেন পড়ব না বল ।
___তুই লুঙ্গি পড়লে নিজেকে সামলাতে কষ্ট হয় ।
___মানে ।(প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে)
___তুই লুঙ্গি পড়লে রাতে লুঙ্গি উপরে উঠে যায় । আর তোর রানের উপরের তিল টা দেখে নিজেকে অনেক কষ্টে সামলাতে হয় ।
___কিহ ..। (চোখ বড় বড় করে )
___সমস্যা নাই এখন তো তুই আমার স্বামী আমি যা চাই তাই করতে পারব । বলেই আমার কাছে আসতে লাগল ।
___আমি এক লাফ দিয়ে উঠে পেন্ট নিয়ে পড়ে নিলাম । আর নিধিকে বললাম ।
___কিছু দেখছ নাতো নিধি ।
___(একটা হাসি দিল)
আর আমি বুজে গেছি কাম সারছে । কিছু না বলে শুয়ে রইলাম আর নিধি আমার বুকে মাথা রাখলো ।
___ রবিউল কয়টা চুমু দিয়ে জরিয়ে ধর ।
___পারবো না ।
___তোর লুঙ্গি উপরে উঠানো কয়টা ছবি আছে ...
___নিধির মুখে হাত দিয়ে বল্লাম । আদর দরকার আদর নিবি ব্লাকমেইল করার কি দরকার ।
___নিধি একটা হাসি দিয়ে চোখ বন্দ করে ফেলছে আর আমি তার প্রাপ্য পাওনা টা দিয়ে জরিয়ে ধরে শুয়ে রইলাম ।
___সকালে ঘোম থেকে উঠে দেখি চাচা চাচি মানুষদের আপ্যায়ন করছে । আর আব্বু আম্মু গেছে বিয়ের জন্য যা যা দরকার তা আনতে ।
___দিনের বেলা মানুষ জনের সাথে কথা বলতে বলতে শেষ । রাতে আমাদের দুজনের গায়ে হলুদ । আমাদের পাশাপাশি বসিয়ে হলুদ দেওয়া হল । সে সময়ের নিধির দুষ্টামিগুলোর কথা নাই বললাম । তবে হলুদ শাড়িতে নিধিকে জোস লাগছিল ।
___সব জামেল শেষ হলে হলুদ শাড়ি পড়া অবস্থায় আমার রুমে আসিছ (কানে কানে)
___কেন (আস্তে করে বলল)
___তোকে অনেক আদর করব (কানে কানে)
___আচ্ছা দেখা যাবে ।(জোরে বলল)
___আমি সাথে সাথে মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলাম ।
___রাত 1টায় জামেলা শেষে শুয়ে শুয়ে নিধির অপেক্ষা করছি। করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম ।
সকালে উঠে দেখি নিধি আমার বুকের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে রইছে ।
___কিরে তুই কখন আসলি ।
___রাতে ।
___আমাকে জাগালি না কেন ।
___তুই সুন্দর করে ঘুমাইতাছত তাই জাগাই না । তবে তোকে আদর দিছি কিন্তু ।
___আমি নিধিকে জরিয়ে ধরে একটা চুমু কপালে দিয়ে উঠে পরলাম ।
___আজ আমার বিয়ের দিন । নিধিকে যখন সাজাতে নিয়ে যাবে তখন আমি নিধির কানে কানে বললাম ।
___আজ রাতে আদর ভালো ভাবে না পাইলে কিন্তু তোর সামনে সিগারেট খামু বইলা দিলাম ।
___ওমা সে কি রাগি লুক দিছে আমি ত ভয়ে শেষ । তাড়াতাড়ি সেখান থেকে কেটে পড়লাম । আমি জানি আজকে রাতে আমি শেষ যেভাবে ক্ষেপেছে ।
___যখন দুজনকে একসাথে বসিয়ে কবুল বলতে কইছে তখন আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখে এখনো রেগে আছে ।
___ বিয়েটা সম্পূর্ন হলো । রাতে খাওয়া দাওয়ার পর । সবাই মিলে বসে রইছে । তখন আব্বু বলতাছে ..
___তোরা দুজন আলাদা থাকবি । ততদিন পর্যন্ত যতদিন রবিউল চাকরি না পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ।
___একদম ঠিক বলছেন ভাই। (চাচা)
___যা এখন সবার রুমে সবাই যা ।(আব্বু)
___আমি আইসা শুয়ে রইছি । আমি জানি সবাই ঘুমিয়ে গেলে নিধি রুমে আসবেই ।
___কিরে তোর না আদর লাগবে (নিধি)
___না লাগব না ।
___আর সিগারেট না বিলে খাবি ।
___না খাবো না ।
___দাড়া তোকে আমি সিগারেট খাবাইতাছি এই বলেই আমার উপরে উঠে শুরু করল রোমান্টি অত্যাচার ....
................... সমাপ্ত ................